Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ঝালুকা মাজার।
স্থান

ঝালুকা গ্রামে

কিভাবে যাওয়া যায়

 ওলির নাম ও জন্মপীরে কামেল মুরশীদে মুকাম্মেল হযরত শাহ শফী কাজী রফিউদ্দিন আল চিশ্তী (রা:)। তিনি ১৮৮২ সালে লক্ষী ধড়দিয়াড় গ্রামের পো: ধুপাইল,থানা: মীরপুর, জেলা: কুষ্টিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনার পীরের নাম কাজী কফিলউদ্দিন আল চিশ্তী (রা:) তিনি তার পিতার একমাত্র সন্তান ছিলেন।

 

শিক্ষা জীবন: বাল্যকাল হতে তিনি তরিকার পথেই শিক্ষা লাভ করার জন্য অর্থাৎ রাসুল (স:) এর সন্তুষ্টি ও আল্লাহ প্রাপ্তির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সাথে উঠাবসা করেন। একসময় তিনি শরিয়তের শিক্ষা লাভের জন্য শাহ সুফী হযরত জান মোহাম্মাদ তরিকাতী তিনার হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। এখান থেকে তরিকাহ মতে আল্লাহ প্রাপ্তি অনেক জ্ঞান বা শিক্ষা লাভ করেন। এবং পরে আধ্যাতিক শিক্ষা লাভের জন্য ইয়াদ আলী দরবেশের কাছে উঠা বসা করেন। ইয়াদ আলী দরবেশের কাছে আধ্যাতিক মতে অনেক জ্ঞান লাভ করেন। তারপর শরিয়তের পীর শাহ সুফী হযরত জান মোহাম্মাদ তরিকাতীর কাছ হতে খিলাফত প্রাপ্ত হন।

 

ওলির পীরত্ব: খিলাফত প্রাপ্তির পর তিনি সংসার ত্যাগী হন। এ সময় তরিকার তাশরিফনিয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। এ ভাবে তার কাছ হতে অনেক মানুষ আধ্যাতিক জ্ঞান লাভ করেন ও তিনার হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। এভাবে এক সময় তিনি রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত দূর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের ঝালুকা গ্রামে অবস্থান করেন। ঝালুকা গ্রামের কফির মোল্লার বাড়িতে তিনি সর্বপ্রথম অবস্থান করেন। তিনার জ্ঞান-গরিমায় মুগ্ধ হয়ে ঝালুকা গ্রামের অনেক মানুষ তার হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। তিনার প্রাপ্তি আক্রিষ্ট হইয়া তিনার এক মুরিদান ভক্ত আজাহার আলী তিনার স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য আনুমানিক ৩৩ শতাংশবা ১ বিঘা জমি ওয়াকফাহ্ করে দেন। এই জমিতে তিনি আস্তানা হিসেবে ব্যবহারের জন্য মুরিদান ভক্তসহ একটা ঘর ও মিলাদ মাহফিল খানা তৈরী করেন। এই আস্তানায় প্রতি বৃহস্প্রতিবারে মিলাদ ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকে তিনি বিভিন্ন এলাকায় মুরিদানের বাড়িতে দেখা করতেন এবং পুনরায় ফিরে তিনার আস্তানায় আসতেন। তিনার তরিকার পথ চালু রাখার জন্য সিলসিলা মতে ক্রমান্নয়ে ৪ জন খলিফানি যুক্ত করেন। (১) খলিফা মো: রহিমুদ্দিন ফকির (২) খলিফা মো: খলিলুর রহমান (৩) খলিফা মো: খুরশেদ আলম ফকির (৪) খলিফা মো:কছিরুদ্দিন ফকির। মো: আইয়ুব আলী তিনার কাছে সব শেষ বায়াত গ্রহন করেন। এরপর তার কাছে আর কেউ বায়াত গ্রহন করেন নি। 

সাধনা ও ক্যারামতি:  তিনি তরিকা মতে মারফতি এবাদাতে মশগুল থাকতেন। এই এবাদাতের ফলে তিনি ভক্ত বৃন্দের মাঝে অনেক ক্যারামতি দেখাইছেন। কিছু ক্যারামতের তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হল:- (১) বিলচলন এলাকায় শীলা বৃষ্টিতে ধান ক্ষেতর অনেক ক্ষতি হলে সেখানকার ভক্তবৃন্দ ওলির কাছে ফরিয়াত জানালে তিনি সেকানে যান এবং বিলের কিছু অংশ তিনি ঘুরে আসেন। বিলের যে অংশ তিনি ঘুরে এসেছেন সেই অশে এখন পযর্ন্ত কোন শীলা বৃষ্টি হয় না। (২) তিনার এক মুরিদান নাম মো: নওশাদ আলী গ্রাম ঝালুকা এই ভক্ত খেজুর গাছের মাথায় উঠে খেজুরের গাছের মাথা থেকে পা ফসকে মাটিতে পড়ে যাচ্ছিলেন এই সময় ওলি তিনার দরবারের খাদেম সহ আমগাছী হাটে অবস্থান করছিলেন। তখন তিনি চমকে উঠে খাদেমকে বললেন যে, মো: নওশাদ আলী নামের ভক্তটা মাটিতে পড়ে গেছে। এবং তিনি বললেন, আমি না ধরলে সে মারা যেত। ঘটনা স্থল থেকে ওলি ২কি:মি: দুরে অবস্থান করছিলেন। এই কথা শুনে খাদেম তখন ঘটনা স্থলে আসে এবং দেখে যে, ঘটনা সঠিক। (৩)সর্বশেষ বায়াত ভক্ত ছেলে মো:আইয়ূব আলীকে যে দিন বায়াত করার উদ্দেশ্যে মুরিদানের শ্বশুর বাড়ী যাওয়ার পথে একটি খাড়ি ছিল কিন্তূ এই খাড়িতে আল্লাহর ওলি অলৈকিক ঘটনা দেখান। তিনি পোশ্রাব করার কথা বলে মাটিতে বসে পরেন। ভক্ত মো: আইয়ুব আলী তখন অন্য দিকে দৃষ্টি দেয়। পরোক্ষনে তিনি যখন ওলির দিকে তাকায় তখন দেখল যে, পশ্রাবের জায়গায় তিনি নাই। খড়ি পার হইয়া পশ্চিম পারে চলে গেছেন। মো: আইয়ুব আলী খাড়ীর পশ্চিম দিকে কিছু দুর যাওয়ার পর আল্লাহর ওলী আবার পূর্বপাশ থেকে ডেকে বলে আমিতো এখানেই আছি। মো: আইয়ুব আলীএখন পিছনে ফিরে দেখে যে, তিনি পশ্রাবের জায়গায় সে দন্ডায়মান। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, এটা একটা আল্লাহর ওলীর বিরাট ক্যারামতি। এছাড়াও আরো অনেক ক্যারামতি রয়েছে। (৪) তার মরিদান কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি মুরিদানের কাছ থেকে শুনার আগে তিনি সব বুঝতে পারতেন এবং তিনি সমস্যার কথা বর্নণা করতেন।

শেষজীবনবাওফাত: তিনি ভক্ত বৃন্দের মাঝে বলতেন যে, সালের পৌষ মাসে আমি ওফাত গ্রহন করিব। এই কথা বলার ৪-৫ মাস পরে সেই পৌষ মাস এল এবং এই পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিকে দরবার পরিচারকগন তিনাকে বলেন যে, আপনাকে বিলচলন এলাকায় যেতে হবে আমরা ও আপনার সাথে যাব। কিন্তূ তিনি যেতে চাইলেন না। খাদেমসহ কয়েকজন অনুরোধ জানাইলে তিনি মুনক্ষুন্ন অবস্হায় যেতে চাইলেন। এবং বললেন আমাকে তিন দিনের বেশি তোমরা আমাকে রাখতে পারবে না। এই কথার মর্মভেদ মুরিদানগন বুঝলো না। এক সময় বুধবার দিন ধার্য হলো সেই বুধবারেই রওনা হল চলনবিলের উদ্দেশ্যে। সেখানে বুধবার-বৃহস্পতি বার অবস্থান করলেন। পরের দিন রোজ শুক্রবার ২৯ শে পৌষ বেলা ১১.৫০ মিনেটে চাচকৌড় বাজার সংলগ্ন আন্দোনামের এক ভক্তের বাড়িতে ওফাত গ্রহন করেন। সেখান থেকে মুরল্হমের লাশ এনে পরের দিন শনিবার ঝালুকা তার দরবারে বিকাল ৫.৩০মিনিটে সমাধিস্থ করা হয়। এবং ভক্তবৃন্দ সেখানে মাঝার তৈরী করেন। ওফাতের সময় কামেলের বয়স ছিল ১১৪বছর। 

ওফাতেরতারিখ: ২৯ শে পৌষ ১৪০২ বাংলা রোজ শুক্রবার মোতাবেক ১২ই জানুয়ারী ১৯৯৬ ইং ২০ শে সাবান ১৪১৫ হিজরী।

উরশ মোবারক উৎযাপন: তিনার ওফাত দিবস উপলক্ষে বৎসরে দুই বার তিনার মাঝারে উরশ মোবারক উৎযাপন করা হয়। প্রথমটি ২৯ পৌষ, ২য়টি ১৮,১৯,২০ শে ফালগুন। তিনার উরশমোবারক উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা হতে আনুমানিক ৬-৭ হাজার বা তার অধিক মানুষ সমাগত হয়। এই উরশ মোবারক উৎযাপনের জন্য যে টাকার প্রয়োজন হয় তা হাতিনার মুরিদান ভক্তগন ও আশেকগনবৃন্দ বহন করে থাকেন।

৫নং ঝালুকা ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থান বলতে একটি ঐতিহাসিক মাঝার আছে যার নাম ঝালুকা মাজার। এই মাঝার রাজশাহী শহর হতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত । রাজশাহী শহর হতে সিএনজি চালিত গাড়ীতে চড়ে রাজশাহী সুগার মিলের পাশ দিয়ে আমগাছী বাজারে পৌছাতে হবে । সিএনজি চালিত গাড়ীর ভাড়া রাজশাহী শহর হতে আমগাছী বাজার পর্যন্ত ৩০ টাকা । তারপর আমগাছী বাজার থেকে অটো গাড়ী অথবা ভ্যান গাড়ীতে চড়ে ১ কিলোমিটার পূর্বে গেলেই ঝালুকা মাঝার পাওয়া যাবে । আমগাছী বাজার হতে ঝালুকা মাঝার পর্যন্ত গাড়ীর ভাড়া ৫ টাকা ।

বিস্তারিত

 ওলির নাম জন্ম: পীরে কামেল মুরশীদে মুকাম্মেল হযরত শাহ শফী কাজী রফিউদ্দিন আল চিশ্তী (রা:)। তিনি ১৮৮২ সালে লক্ষী ধড়দিয়াড় গ্রামের পো: ধুপাইল,থানা: মীরপুর, জেলা: কুষ্টিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনার পীরের নাম কাজী কফিলউদ্দিন আল চিশ্তী (রা:) তিনি তার পিতার একমাত্র সন্তান ছিলেন।

 

শিক্ষা জীবন: বাল্যকাল হতে তিনি তরিকার পথেই শিক্ষা লাভ করার জন্য অর্থাৎ রাসুল (স:) এর সন্তুষ্টি ও আল্লাহ প্রাপ্তির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সাথে উঠাবসা করেন। একসময় তিনি শরিয়তের শিক্ষা লাভের জন্য শাহ সুফী হযরত জান মোহাম্মাদ তরিকাতী তিনার হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। এখান থেকে তরিকাহ মতে আল্লাহ প্রাপ্তি অনেক জ্ঞান বা শিক্ষা লাভ করেন। এবং পরে আধ্যাতিক শিক্ষা লাভের জন্য ইয়াদ আলী দরবেশের কাছে উঠা বসা করেন। ইয়াদ আলী দরবেশের কাছে আধ্যাতিক মতে অনেক জ্ঞান লাভ করেন। তারপর শরিয়তের পীর শাহ সুফী হযরত জান মোহাম্মাদ তরিকাতীর কাছ হতে খিলাফত প্রাপ্ত হন।

 

ওলির পীরত্ব: খিলাফত প্রাপ্তির পর তিনি সংসার ত্যাগী হন। এ সময় তরিকার তাশরিফনিয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। এ ভাবে তার কাছ হতে অনেক মানুষ আধ্যাতিক জ্ঞান লাভ করেন ও তিনার হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। এভাবে এক সময় তিনি রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত দূর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের ঝালুকা গ্রামে অবস্থান করেন। ঝালুকা গ্রামের কফির মোল্লার বাড়িতে তিনি সর্বপ্রথম অবস্থান করেন। তিনার জ্ঞান-গরিমায় মুগ্ধ হয়ে ঝালুকা গ্রামের অনেক মানুষ তার হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। তিনার প্রাপ্তি আক্রিষ্ট হইয়া তিনার এক মুরিদান ভক্ত আজাহার আলী তিনার স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য আনুমানিক ৩৩ শতাংশবা ১ বিঘা জমি ওয়াকফাহ্ করে দেন। এই জমিতে তিনি আস্তানা হিসেবে ব্যবহারের জন্য মুরিদান ভক্তসহ একটা ঘর ও মিলাদ মাহফিল খানা তৈরী করেন। এই আস্তানায় প্রতি বৃহস্প্রতিবারে মিলাদ ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকে তিনি বিভিন্ন এলাকায় মুরিদানের বাড়িতে দেখা করতেন এবং পুনরায় ফিরে তিনার আস্তানায় আসতেন। তিনার তরিকার পথ চালু রাখার জন্য সিলসিলা মতে ক্রমান্নয়ে ৪ জন খলিফানি যুক্ত করেন। (১) খলিফা মো: রহিমুদ্দিন ফকির (২) খলিফা মো: খলিলুর রহমান (৩) খলিফা মো: খুরশেদ আলম ফকির (৪) খলিফা মো:কছিরুদ্দিন ফকির। মো: আইয়ুব আলী তিনার কাছে সব শেষ বায়াত গ্রহন করেন। এরপর তার কাছে আর কেউ বায়াত গ্রহন করেন নি। 

সাধনা ক্যারামতি:  তিনি তরিকা মতে মারফতি এবাদাতে মশগুল থাকতেন। এই এবাদাতের ফলে তিনি ভক্ত বৃন্দের মাঝে অনেক ক্যারামতি দেখাইছেন। কিছু ক্যারামতের তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হল:- (১) বিলচলন এলাকায় শীলা বৃষ্টিতে ধান ক্ষেতর অনেক ক্ষতি হলে সেখানকার ভক্তবৃন্দ ওলির কাছে ফরিয়াত জানালে তিনি সেকানে যান এবং বিলের কিছু অংশ তিনি ঘুরে আসেন। বিলের যে অংশ তিনি ঘুরে এসেছেন সেই অশে এখন পযর্ন্ত কোন শীলা বৃষ্টি হয় না। (২) তিনার এক মুরিদান নাম মো: নওশাদ আলী গ্রাম ঝালুকা এই ভক্ত খেজুর গাছের মাথায় উঠে খেজুরের গাছের মাথা থেকে পা ফসকে মাটিতে পড়ে যাচ্ছিলেন এই সময় ওলি তিনার দরবারের খাদেম সহ আমগাছী হাটে অবস্থান করছিলেন। তখন তিনি চমকে উঠে খাদেমকে বললেন যে, মো: নওশাদ আলী নামের ভক্তটা মাটিতে পড়ে গেছে। এবং তিনি বললেন, আমি না ধরলে সে মারা যেত। ঘটনা স্থল থেকে ওলি ২কি:মি: দুরে অবস্থান করছিলেন। এই কথা শুনে খাদেম তখন ঘটনা স্থলে আসে এবং দেখে যে, ঘটনা সঠিক। (৩)সর্বশেষ বায়াত ভক্ত ছেলে মো:আইয়ূব আলীকে যে দিন বায়াত করার উদ্দেশ্যে মুরিদানের শ্বশুর বাড়ী যাওয়ার পথে একটি খাড়ি ছিল কিন্তূ এই খাড়িতে আল্লাহর ওলি অলৈকিক ঘটনা দেখান। তিনি পোশ্রাব করার কথা বলে মাটিতে বসে পরেন। ভক্ত মো: আইয়ুব আলী তখন অন্য দিকে দৃষ্টি দেয়। পরোক্ষনে তিনি যখন ওলির দিকে তাকায় তখন দেখল যে, পশ্রাবের জায়গায় তিনি নাই। খড়ি পার হইয়া পশ্চিম পারে চলে গেছেন। মো: আইয়ুব আলী খাড়ীর পশ্চিম দিকে কিছু দুর যাওয়ার পর আল্লাহর ওলী আবার পূর্বপাশ থেকে ডেকে বলে আমিতো এখানেই আছি। মো: আইয়ুব আলীএখন পিছনে ফিরে দেখে যে, তিনি পশ্রাবের জায়গায় সে দন্ডায়মান। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, এটা একটা আল্লাহর ওলীর বিরাট ক্যারামতি। এছাড়াও আরো অনেক ক্যারামতি রয়েছে। (৪) তার মরিদান কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি মুরিদানের কাছ থেকে শুনার আগে তিনি সব বুঝতে পারতেন এবং তিনি সমস্যার কথা বর্নণা করতেন।

শেষজীবনবাওফাত: তিনি ভক্ত বৃন্দের মাঝে বলতেন যে, সালের পৌষ মাসে আমি ওফাত গ্রহন করিব। এই কথা বলার ৪-৫ মাস পরে সেই পৌষ মাস এল এবং এই পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিকে দরবার পরিচারকগন তিনাকে বলেন যে, আপনাকে বিলচলন এলাকায় যেতে হবে আমরা ও আপনার সাথে যাব। কিন্তূ তিনি যেতে চাইলেন না। খাদেমসহ কয়েকজন অনুরোধ জানাইলে তিনি মুনক্ষুন্ন অবস্হায় যেতে চাইলেন। এবং বললেন আমাকে তিন দিনের বেশি তোমরা আমাকে রাখতে পারবে না। এই কথার মর্মভেদ মুরিদানগন বুঝলো না। এক সময় বুধবার দিন ধার্য হলো সেই বুধবারেই রওনা হল চলনবিলের উদ্দেশ্যে। সেখানে বুধবার-বৃহস্পতি বার অবস্থান করলেন। পরের দিন রোজ শুক্রবার ২৯ শে পৌষ বেলা ১১.৫০ মিনেটে চাচকৌড় বাজার সংলগ্ন আন্দোনামের এক ভক্তের বাড়িতে ওফাত গ্রহন করেন। সেখান থেকে মুরল্হমের লাশ এনে পরের দিন শনিবার ঝালুকা তার দরবারে বিকাল ৫.৩০মিনিটে সমাধিস্থ করা হয়। এবং ভক্তবৃন্দ সেখানে মাঝার তৈরী করেন। ওফাতের সময় কামেলের বয়স ছিল ১১৪বছর। 

ওফাতেরতারিখ: ২৯ শে পৌষ ১৪০২ বাংলা রোজ শুক্রবার মোতাবেক ১২ই জানুয়ারী ১৯৯৬ ইং ২০ শে সাবান ১৪১৫ হিজরী।

উরশ মোবারক উৎযাপন: তিনার ওফাত দিবস উপলক্ষে বৎসরে দুই বার তিনার মাঝারে উরশ মোবারক উৎযাপন করা হয়। প্রথমটি ২৯ পৌষ, ২য়টি ১৮,১৯,২০ শে ফালগুন। তিনার উরশমোবারক উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা হতে আনুমানিক ৬-৭ হাজার বা তার অধিক মানুষ সমাগত হয়। এই উরশ মোবারক উৎযাপনের জন্য যে টাকার প্রয়োজন হয় তা হাতিনার মুরিদান ভক্তগন ও আশেকগনবৃন্দ বহন করে থাকেন।